এক দশক থেকেই বলা হচ্ছিল যে বিশ্ব মনোযোগের অন্যতম ভরকেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এটা অর্থনৈতিক বিবেচনা থেকে যেমন বলা হচ্ছিল, তেমনি আসন্ন উত্তেজক অবস্থার দিকে ইঙ্গিত করেও বলা হয়েছে। ভূরাজনীতিকদের এই পূর্বকথা ব্যর্থ হয়নি। চীন, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান, বার্মাসহ পুরো এই জনপদে একদিকে যেমন আমরা অর্থনৈতিক উত্থান দেখছি, পাশাপাশি শুরু হয়েছে সম্ভাব্য এক আন্তযুদ্ধ—ধর্ম ও জাতিগত হিংসা-বিদ্বেষ-বৈরিতা। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে পুরো অঞ্চলের উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামের এক অযৌক্তিক উপসংহার। অনেক ভূরাজনৈতিক ভাষ্যকার তাই এ-ও বলছেন যে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য উত্তেজক এই অধ্যায়ে প্রবেশ ঐতিহাসিক নিয়তি নির্দিষ্ট হয়েছিল। বস্তুত, এইরূপ পটভূমিতেই বাংলাদেশেও দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস ও সমাজকে নতুন করে অধ্যয়ন জরুরি হয়ে পড়েছে এবং এইরূপ পঠনপাঠন একেবারে গোড়া থেকে শুরু হওয়া জরুরি। বস্তুত, একটি অঞ্চলের ইতিহাস ও সমাজজীবনের মৌলিক তথ্যগুলো জানা না থাকার কারণে সেখানকার সমকালীন ঘটনাপ্রবাহের যোগসূত্র ও তার বহু স্তরায়িত জটিল বিন্যাস বুঝতে আজকের পাঠক খেই হারিয়ে ফেলেন। দক্ষিণ এশিয়া অধ্যয়নের সেই শুরুর বিন্দুতে ফিরে যেতেই এখানে তুলে ধরা হচ্ছে ‘বার্মা পাঠসূত্র’। এটা হলো দুই কিস্তিতে সমাপ্য বার্মা বিষয়ে এই লেখকের পাঠসূত্রের প্রথম কিস্তি, যেখানে বার্মার ইতিহাস ও সমাজের ১৭টি প্রসঙ্গে সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য-বাস্তবতা তুলে ধরা হচ্ছে। আগামী কিস্তিতেও প্রায় অনুরূপসংখ্যক ভুক্তি তুলে ধরার মধ্য দিয়ে আজকের বার্মার জাতিগত ও রাজনৈতিক বাস্তবতাকে বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে সহজবোধ্য করার চেষ্টা করা হবে।
[বিস্তারিত দেখুন জানুয়ারি–মার্চ ২০১৮ সংখ্যা (২২তম সংখ্যা)৷