[দীপেশ চক্রবর্তী, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ও নিম্নবর্গের ইতিহাসের অন্যতম পুরোধা। বাংলার জন-ইতিহাস, আত্মপরিচয়, ধর্ম ও রাজনীতি তাঁর আগ্রহ ও লেখার বিষয়। সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়েও লেখালেখি শুরু করেছেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করে তিনি কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বিখ্যাত প্রভিন্সিয়ালাইজিং ইউরোপ গ্রন্থে তিনি ইতিহাস এবং উপনিবেশোত্তর তত্ত্বের মধ্যে বিভাজন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। এই বই বাংলার শ্রমিকশ্রেণির ইতিহাস বিষয়ে তাঁর পূর্বের করা রিথিংকিং ওয়ার্কিং ক্লাস হিস্ট্রি গ্রন্থের পরিমার্জনা ও ধারাবাহিকতা দুটোই। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ।]
ইফতেখার: বাংলাদেশে এবার নিয়ে কততম বার আসা? বাংলাদেশের বদলটাকে কীভাবে দেখেন?
দীপেশ: এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো এলাম। বাংলাদেশ আমাকে সব সময় টানে। কারণ, বাংলাদেশ আমার মা-বাবার দেশ। ফলে এই দেশের সবকিছুই আমাকে আকর্ষণ করে। নিজের নস্টালজিয়া, পারিবারিক সম্পর্ক—এসব ব্যক্তিগত কারণেও বাংলাদেশ আমার আগ্রহের বিষয়। বাঙালি মুসলমানের জাতীয়তাবাদের ইতিহাস ও আত্মপরিচয় সন্ধানটাকে আমি খুব মনোযোগ দিয়ে পাঠ করার চেষ্টা করি।
যেমন ধরেন, মুসলিম জাতীয়তাবাদের শুরুটা কিন্তু পাকিস্তান আন্দোলনেরও বেশ আগের। ২০ শতকের গোড়া থেকে এটা শুরু হয়েছে। বাঙালি মুসলমানের আধুনিকতার চেহারা কী হবে, হিন্দু আধুনিকতা থেকে এর কতটুকু নেওয়ার আছে, নারীদের স্বাধীনতার ধরন কেমন হবে, পূর্ব বাংলার ভাষা-পোশাক কী হবে—এসব ক্ষেত্রে সবকিছু কিন্তু বর্জনের ইতিহাস নয়। এর মধ্যে দেওয়া-নেওয়ার বিষয় আছে। আমার আগ্রহের বিষয়, কীভাবে বাঙালি মুসলমানের একটা গোষ্ঠীগত পরিচয় তৈরি হলো। একটি সার্বভৌমত্বের স্বাদ, পরিচয় তারা পেল, যা উপমহাদেশের সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিতে খুবই স্বতন্ত্র একটি ঘটনা। সেই অর্থে বাংলাদেশ কিন্তু ভারতীয় উপমহাদেশের জন্য একটি পরীক্ষা।
ইফতেখার: সেটা কেমন?
[বিস্তারিত দেখুন জানুয়ারি–মার্চ ২০১৮ সংখ্যা (২২তম সংখ্যা)৷