গণতন্ত্রের হেলে পড়া: পুনর্জাগরণ থেকে বিপন্নতায়
সারকথা
১৯৯০ এ সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনকে পশ্চিমা দুনিয়ায় গণতন্ত্রের জয় হিসেবে দেখা শুরু হয়েছিল। সেই বছরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে থেকেই প্রকাশিত হতে শুরু করে জার্নাল অব ডেমক্রেসি পত্রিকা। গণতন্ত্রপ্রেমী ও রাষ্ট্রচিন্তকদের মধ্যে বিপুল আশাবাদের জোয়ার দেখা যাচ্ছিল। দেশে দেশে স্বৈরশাসকেরা আত্মরক্ষায় ব্যতিব্যস্ত। মনে হচ্ছিল গণতন্ত্রই হতে চলেছে বিশ্বের একমাত্র রাজনৈতিক ব্যবস্থা। পাশাপাশি নব্য গণতান্ত্রিক দেশগুলির নামকাওয়াস্তে গণতান্ত্রিক চর্চা দেখে পণ্ডিতেরা এদের ভবিষ্যত নিয়েও সন্দিহান হয়ে উঠছিলেন। পরে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের অগভীরতা, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো কর্তৃত্ববাদী নেতার বিজয় গণতন্ত্রের নাজুকতাকে সামনে নিয়ে আসে। ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়াসহ নব্বইয়ের দশকে হাজির হওয়া নতুন গণতন্ত্রগুলিতেও কর্তৃত্ববাদী নেতারা ক্ষমতাসীন হতে থাকেন। এই প্রবন্ধের লেখক নিজে জার্নাল অব ডেমোক্রেসির সম্পাদক হিসেবে বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের উত্থান ও ধারাবাহিক পতনের সাক্ষ্য দিচ্ছেন এই রচনায়।
রচনাটি ডেমোক্রেসি ফর জার্নাল–এর চলতি সংখ্যার মূল প্রবন্ধ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের সংকটের বিবরণ দেওয়ার পাশাপাশি চীনের উত্থান এবং ইউক্রেন সংকটে রাশিয়ার ভূমিকার পটভূমি এই প্রবন্ধে আলোচিত হয়েছে।
‘আমাদের ইতিহাসের আরম্ভ থেকেই স্বৈরতন্ত্র বনাম স্বাধীনতার সেই প্রাচীনতম ও একমাত্র হেতুটি ছাড়া, রাজনীতির ন্যূনতম অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার বাস্তব কোনো কারণই আর অবশিষ্ট নেই।’
—হান্না আরেন্ডট, অন রেভল্যুশন, ১৯৬৩
শুধু নিবন্ধিত ব্যবহারকারীরাই পুরো লেখা পড়তে পারবেন।
প্রথম আলোতে আপনার অ্যাকাউন্ট থাকলে
লগইন করুনঅথবা নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন